,

বানিয়াচংয়ে ট্রিপল মার্ডারের ২১ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন

জুয়েল চৌধুরী ॥ বানিয়াচঙ্গের পুরান পাথাড়িয়া গ্রামের আলোচিত তিন হত্যাকান্ডের ঘটনার ২১ বছর পর রায় ঘোষণা করেছে আদালত। পৃথক রায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। সাজা প্রাপ্তরা হলেন, পুরান পাথাড়িয়া গ্রামের ঈসমাইলের ছেলে করম আলী, মৃত হেলিম উল্ল্যাহর ছেলে আলী মোহাম্মদ, আব্দুল হাশিমের ছেলে সুরুজ আলী ও মৃত সঞ্জব আলীর ছেলে তোরাব আলী। জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এলাকায় পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শাহেদ আলী ও আলী আহম্মদের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শাহেদ আলীর পক্ষের সামছুল হক ও আফিল উদ্দিন এবং আলী আহমদ পক্ষের নূর মোহাম্মদ নিহত এবং উভয়পক্ষে শতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। নূর মোহাম্মদ খুনের ঘটনায় তার ভাই আলী আহম্মদ বাদী হয়ে ওই দিনই বানিয়াচং থানায় ১৩০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বানিয়াচং থানার তৎকালিন উপ-পরিদর্শক এসআই অমরেন্দ্র বিশ্বাস ১৯৯৯ সালের ১১ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করলে। মামলায় ১১ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত করম আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। অন্য আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেখসুর খালাস প্রদান করা হয়। এদিকে, অপরপক্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় নিহতদের আত্মীয় আতিকুন্নেছা ঘটনার দিন বাদী হয়ে ৬২ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায়ও এসআই অমরেন্দ্র বিশ্বাস ১৯৯৯ সালের ১১ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করলে ৯ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী আলী মোহাম্মদ, সুরুজ আলী ও তোরাব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। আলোচিত এই দুই মামলায় প্রায় দুইশ আসামী থাকায় এবং তাদের স্বজনদের উপস্থিতির কারণে আদালত প্রাঙ্গণে ব্যাপক ভীড় দেখা যায়। আদালতের কাঠগড়ায় একসাথে সবার জায়গা না হলে এজলাশ পুরোটাই জনাকীর্ণ হয়ে পড়ে। রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও সুবীর রায় জানান, ‘রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত ৪ জনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারা দোষী স্বাবস্থ্য হওয়ায় আদালত সঠিক রায় দিয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর